মাত্র ১১ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ তামিম হাসান

উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ

মাত্র ১১ বছর বয়সেই পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে মেধাবী বালক মো. তামিম হাসান। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র কোরআনের শেষ সবক সমাপ্ত করেছে সে। তামিম হাসানের বাসা ভোলার সদর থানার চর মনসা গ্রামে। তার বাবার নাম নূর আলম আল-আমিন।

মেধাবী এই বালক রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় অবস্থিত কওমি মাদ্রারাসা ‘মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা’র হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। এই ক্যাটাগরি থেকেই সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে।
হেফজ বিভাগের প্রধান ওস্তাদ হাফেজ আবু জর ও সহকারী ওস্তাদ হাফেজ জোবায়ের আহমাদসহ প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক তামিম হাসানের হিফজ সমাপ্ত হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ প্রসঙ্গে ‘মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা’র মুহতামিম মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমি বলেন, ‘তামিম হাসানের পিতা খেটে  একজন মানুষ। অনেক আশা করে উনি তার সন্তানকে আমাদের এইখানে ভর্তি করেছেন এবং আলহামদুলিল্লাহ ছোট্ট তামিম তার মা-বাবার আশা পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে।’
তবে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় তামিমের পড়াশোনার ব্যয় চালিয়ে যেতে পারেননি তার বাবা। পরে ‘মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা’ তার লেখাপড়া ও সমুদয় ব্যয়ভার গ্রহণ করে বলেও জানিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। উনি তামিম হাসানসহ তার পরিচালিত মাদ্রাসা এবং সেখানকার সব ওস্তাদ ও শিক্ষার্থীর দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতার জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
হাদিসে হাফেজে কোরআনের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহতায়ালা কোরআনের হাফেজদের দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত করবেন। এ সম্মানের অংশীদার তার মা-বাবাও। এজন্য সন্তানকে কোরআনের হাফেজ বানানোর স্বপ্ন দেখেন বহু মা-বাবা।
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে মানুষ কোরআন পাঠ করে তার সাথে তদনুযায়ী আমল করে, কেয়ামতের দিন তার মা-বাবাকে এমন মুকুট পরানো হবে, যার আলো সূয্যির আলোর চেয়েও ঝলমলে হবে। ধরে নাও, যদি সূয্যি তোমাদের কক্ষে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে  কোরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কিরকম হবে, তোমরা আন্দাজ কোরো তো!’ -সুনানে আবু দাউদ : ১৪৫৩

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন