![]() |
ছবি সংগ্রহীত |
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ঐতিহাসিক মিলন মেলায় জীবন সঙ্গীর খোঁজে ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী লোকেরা। স্থানীয় ভাবে এরা আদিবাসী বলে পরিচিত।
কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, খোঁপায় গোঁজা ফুল। রঙিন শাড়িতে অপরূপ সাজে মেলায় জড়ো হয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েরা। পছন্দের জীবনসঙ্গীর খোঁজে দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় হাজির হয় তরুণ-তরুণীরা। পরস্পরের পছন্দ হলেই বেজে ওঠে সানাইয়ের সুর। প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা , তারপর অভিভাবকদের জানানো এবং শেষে ধুমধাম করে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন।
আগামী কাল ১৫ অক্টোবর দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসতে চলেছে পছন্দের জীবনসঙ্গী খোঁজার এই মেলা৷ ২০০ বছরের ঐতিহ্য মেনে প্রতিবারই বসে এ মেলা।
এ ছাড়াও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সের মানুষের পাশাপাশি মেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ অংশগ্রহণ করে চোখে পড়ার মতো। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উৎসব মুখর পরিবেশে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই ব্যতিধমী মেলা। এটি অনেকের কাছে কাছে বাসিয়া হাটি নামে পরিচিত। এই মেলায় মুলত দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রাজশাহী ও নাওগাঁ জেলার আদিবাসীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ হলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা এখান থেকে পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন। এখানে কোনো পাত্র বা পাত্রী পছন্দ হলে পরিবারের মাধ্যমে ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ মেলার এই ঐতিহ্যবাহী রীতিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন