ঘরের মেঝেতে কান্না করছে শিশু, বিছানায় মায়ের নিথর দেহ

উত্তরবাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ


লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে শ্বাসরোধ ও লাঞ্ছনা করে মিতু আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার কমপ্লেইন উঠে গিয়েছে স্বামী আতিকুল ইসলাম (২৫)র বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় স্বামী আতিকুল ইসলামের নামে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত গৃহবধূর বাবা।


শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা শিওর করে বলেন, বার্তা পাওয়ার পরপরই ঘটনা স্থলে অফিসার পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার মরদেহের ময়না তদন্ত শেষ করে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।


নিহত মিতু আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা খেতাবখা এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের মেয়ে তার সাথে অভিযুক্ত স্বামী আতিকুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর থানার গোকুন্ডা ইউনিয়নের দাড়ারপাড় মুন্সিটারী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান উপনাম হবিয়ার ছেলে।


অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকা মোহাম্মদ ইসলামের মেয়ে মিতু আক্তারের সাথে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের দাড়ারপাড় মুন্সিটারী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলের বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের সাংসারিক জীবন ভালই চলছিল। তাদের ঘরে ৫ মাসের আতিকা নামে ১টি মেয়ে সন্তানও আছে। গত ১৫/২০ দিন আগে আকস্মিক করে স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে ঝগড়া লাগে। এর পর স্বামী আতিকুল ইসলাম তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না থাকার জায়গা থেকে বাহির করে দেয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ আপোষ মিমাংসা করে দিলে তারা আবারও পূর্বের মতোই সংসার করতে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত্রিতে আবারও তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে চেচামেচি ও মারামারির শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। কিন্তু কক্ষের দড়জা অফ থাকা এলাকাবাসী ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। এর পরেরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে বাচ্চা আতিকার দির্ঘক্ষন কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয় লাভলু নামে এক ব্যাক্তিসহ এলাকাবাসী ঘরে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় শিশুটি মেজেতে ক্রন্দন করছে আর তার মায়ের (মিতু আক্তার) লাশ বিছানায় পড়ে আছে। পরে বিষয়টি দুপুরের দিকে উপজেলা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ টাইম বাচ্চা আতিকাকে তার নানার হেফাজতে দেয়া হয়। ওইদিন রাতেই নিহত গৃহবধূ মিতুর বাপ আতিকুলকে আসামী করে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


লালমনিরহাট সদর উপজেলায় কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক জানান, নালিশ পর রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামী পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন