বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি উঠেছে, এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি।

উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ


ভারতের সিকিমে কড়া বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আচমকা বন্যা পরিস্থিতির কারণে তিস্তা নদীর ১টি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশেও পানি প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে।

এর প্রথমে বিকেল ৪টায় সেইম পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, রাতেরবেলা পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত উঠতে পারে। নদীরপাড়ের মানুষকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘নদীপাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বার্তা পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য থানা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’।’

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তিস্তার উৎসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে চুংথাং হ্রদে পানি বেড়ে গেছে। হ্রদের পানি আটকে রাখতে ব্যর্থ হয়ে বাঁধ খুলে দেওয়া হলে ভাটিতে নদীর পানির স্তরের হাইট ১৫ হতে ২০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়।

লালমনিরহাট বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডব্লিউসি) এর তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়ার উত্তর সিকিম’এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম নামক ১টি বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও সিকিম এলাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এদিকে রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন