গাইবান্ধা জেলার নামকরণ,ইতিহাস ও ঐতিহ্য

উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম, শুভেচ্ছা। আজকে আমরা পরিচয় করিয়ে দেবো উত্তরের জেলা গাইবান্ধাকে, তো চলুন শুরু করা যাক । প্রথমেই আমরা গাইবান্ধা জেলার ইতিহাস জানবো :
জনশ্রুতি রয়েছে প্রায় ৫২০০ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ অঞ্চলে বিরাট রাজার রাজধানী অবস্থিত ছিল। সেই বিরাট রাজার প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার গরুর গাভী ছিল। সেই গাভী বাধার স্থান হিসাবে গাইবান্ধা নামটি এসেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। গত ১৯৮৪  সালের ১৫ অগাস্ট বুধবার ২ ফাল্গুন ১৩৯০ বাংলা সনে গাইবান্ধা জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আসুন জেনে নিন গাইবান্ধা জেলার অবস্থান সম্পর্কে :
গাইবান্ধা জেলার উত্তরে রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা ও রংপুর জেলা, দক্ষিণে এলাকায় রয়েছে বগুড়া জেলা ও জয়পুরহাট জেলা, পূর্বে রয়েছে জামালপুর জেলা, তিস্তা ও যমুনা নদী এবং পশ্চিম অঞ্চলে রয়েছে  রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলা ও জয়পুরহাট জেলা।

প্রিয় পাঠক, গাইবান্ধা জেলায় মোট সাতটি উপজেলা রয়েছে ।
আসুন জেনে নেই, সেগুলো কি :

গাইবান্ধা সদর উপজেলা
সাদুল্লাপুর উপজেলা
ফুলছড়ি উপজেলা
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা
পলাশবাড়ী উপজেলা
সাঘাটা উপজেলা এবং
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা

জেলার শিল্প কারখানা: গাইবান্ধা জেলায় রয়েছে  ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প মোট ১৬২১ টি, মাঝারি শিল্প ২ টি এবং বৃহৎ শিল্প ১ টি।

জানা যায়,এই জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর  ইউনিয়নের কুটির শিল্প খুবই উন্নত। এখানে ১৯৬০ এর দশক থেকে সুয়েটার, মুজা, মাফলার সহ নানা ধরনের পণ্য  তৈরী করা হয়। তবে এই জেলার মানুষের গড় আয় দৈনিক মাএ ৩০০-৪০০ টাকার মতো।

উত্তরের জেলা গাইবান্ধা জেলায় রয়েছে অনেকগুলো দর্শনার্থী স্থান।
আসুন জেনে সেগুলো কি কি :

১। কামারের হাট (গোবিন্দোগঞ্জ)
২। বালাসী ঘাট, (ফুলছড়ি)
৩। পেরিমাধব জমিদার বাড়ি, (সাদুল্লাপুর)
৪। প্রাচীন মাস্তা মসজিদ, (গোবিন্দগঞ্জ)
৫। ফুলপুকুরিয়া পার্ক (গোবিন্দগঞ্জ)
৬। নলডাঙ্গার জমিদার বাড়ি, (সাদুল্লাপুর)
৭। ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার, (ফুলছড়ি)
৮। রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড, (মহিমাগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ)
৯। ঘেগার বাজার মাজার, (সাদুল্লাপুর)
১০। ড্রীম সিটি পার্ক,(সাঘাটা)
১১। আলিবাবা থিম পার্ক (সুন্দরগঞ্জ )
১২। গাইবান্ধা পৌর পার্ক,(গাইবান্ধা সদর)
১৩। ড্রীমল্যান্ড, (পলাশবাড়ী সদর)
১৪। হযরত শাহ জামাল মাজার শরীফ, (সাদুল্লাপুর)
১৫। জামালপুর শাহী মসজিদ, (সাদুল্লাপুর)
১৬। এসকেএস ইন, (গাইবান্ধা সদর)
১৭। রাজাবিরাট প্রসাদ, (গোবিন্দগঞ্জ)
১৮। পাকড়িয়া বিল, (সাদুল্লাপুর)
১৯। বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, (সুন্দরগঞ্জ)

গাইবান্ধা জেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি নদী।  আসুন সেগুলোর সঙ্গে পরিচয় হয়নি নেই :
১। ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদ
২। তিস্তা নদী
৩। যমুনা
৪। ঘাঘট
৫। বাঙালি নদী

এ জেলায় রয়েছে, অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও
গুণী মানুষ। যাদের কারণে গাইবান্ধা জেলা অন্যতম ।
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেই সেই গুণী মানুষগুলোর  পরিচয়:

১। আবু হোসেন সরকার, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
২। শাহ্ আব্দুল হামিদ, গণপরিষদের প্রথম স্পীকার।
৩। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সাহিত্যিক
৪। মকবুলার রহমান সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
৫। মোহাম্মদ হাসান আলী খান: সাবেক নৌ প্রধান।
৬। ফজলে রাব্বী মিয়া, ডেপুটি স্পিকার।
৭। রুবেল মিয়া (ফুটবলার)
৮। আহমেদ হোসেইন, অবিভক্ত বাংলার কৃষিমন্ত্রী।
৯। ফজলে রাব্বি চৌধুরী, ভূমি সংস্কার ও পুনর্বাসন মন্ত্রী, ১০। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান
১১। বদিউল আলম, বীর উত্তম ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন