উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ
দিনাজপুরে বরযাত্রীর বাসের সাথে মোটরসাইকেলের সম্মুখীন সংঘর্ষে জহুরুল ইসলাম (৪০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু'জন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় দিনাজপুরের বিরামপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর থানার মহাবিদ্যালয় বাজার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন চাঁদপুর অঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি শিওর করেছেন।তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, মো.জহুরুল ইসলাম (৪০) ও সুজন হোসেন (৪০)। নিহত জহুরুল দিনাজপুর ফুলবাড়ী থানার লক্ষ্মীপুর এলাকার আফফার উদ্দিনের ছেলে এবং সুজন হোসেন একই উপজেলার খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের হবিবুর রহমানের ছেলে। এদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার এসআই (ডিএসবি) হিসেবে এবং সুজন ফুলবাড়ি থানায় ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, জহুরুল ইসলাম তার ফ্রেন্ড মোনায়েম হোসেন সুজনকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে একটি মামলার সাক্ষী দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাড়ি লক্ষ্মীপুরে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের বিরামপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের কলেজ বাজার অঞ্চলে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বরযাত্রী বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জহুরুল ও মোনায়েম মারা যান।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সামসুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থান হতে অনেক রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ছেলে হারিয়ে মূর্ছনা যাওয়া নিহত জহুরলের পিতা আফফার উদ্দিন ভারাক্রান্ত ভাবে জানান, আমার ছেলের বিয়ের এক দিন হলো। আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে জহুরুল ইসলাম সবার বড়। সোমবার রুমা আকতারের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। বিবাহের পরদিন মঙ্গলবার সকালে তার ফ্রেন্ড সুজনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রাজশাহী আদালতে মামলার সাক্ষী দেওয়ার জন্য যান। আদালতের কাজ শেষে বিকালবেলা দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে আবারো বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় বিরামপুর কলেজ মার্কেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দু'জনই প্রাণ হারিয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন