শিক্ষা ডেস্কঃ
দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক। শিক্ষার ভিত গড়ে ওঠে প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে। অথচ দেশে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজ করছে চরম বেহাল অবস্থা। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন বৃদ্ধি করা হলেও সে তুলনায় শিক্ষার মান অনেকটাই নিম্নমুখী। এটা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় মফস্বলের বিদ্যালয় গুলোতে।
এক্ষেত্রে শিক্ষকদের অদক্ষতা ও অমনোযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও দায়িত্বহীনতা সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মানসম্মত শিক্ষার অভাবে দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বাস্তবিক পক্ষে "দরিদ্রের বিদ্যালয়ে' পরিণত হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকচিক্য আর কোটি টাকার ভবন থাকলেও মফস্বলের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো লেখাপড়া করানো হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঠ্যবইয়ের অনেক বিষয় শিক্ষকরাই বুঝতে বা বোঝাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ভালো পারেন, তাদের দিয়ে ক্লাসে পড়ান এমন অভিযোগ রয়েছে। ক্লাসে ঠিকমতো উপস্থিত না থাকা, টিফিনে বা অন্য যে কোনো সময়ে ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীরা স্কুল ত্যাগ করলেও তেমন কোনো মাথাব্যথা থাকে না শিক্ষকদের। এককথায় কিছু কিছু বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান খুবই খারাপ। যে কারণে বাধ্য হয়ে বাড়ির পাশের সরকারি স্কুল রেখে অনেকেই তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন।
আর্থিকভাবে সক্ষম অভিভাবকরা এখন তাদের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে উন্নত শিক্ষার জন্য কিন্ডারগার্টেন কিংবা প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করান। এমনকি,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করান না।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয় গুলোর একই অবস্থা।
কিছুটা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চায় না। এর মূল কারণ হচ্ছে, অধিকাংশ বিদ্যালয়গুলোতে লেখা-পড়ার মান একেবারে'ই নিম্নমানের। এজন্য প্রাইভেট স্কুলগুলোতে সবাই ঝুঁকিয়ে পড়ছে।
অথচ এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরাই মাসে হাজার হাজার কোটি টাকা বেতন পাচ্ছে।
অবশ্যই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন