উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ
রংপুর জেলার পীরগঞ্জে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে ড্রিলিংয়ের বিনিময়ে একটি ধাতব খনির অনুসন্ধানে কার্য আরম্ভ করেছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক আলী আকবর জানান, খনিতে তামা, লোহাসহ ভিন্ন ভিন্ন খনিজ সম্পদ থাকতে পারে। তবে সেটি জানতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। এই জায়গায় খনিজ সম্পদের অস্তিত্ব পেয়েছি। এটা একটা বিরাট পাওয়া! এটি রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে পরিবর্তন করতে পারে। স্থানীয়রা জানান, এই জায়গায় খনিজ সম্পদ রয়েছে এতো দিন আমরা জানতাম না। তবে খনিতে লোহা, তামা অথবা স্বর্ণ যেটাই হোক না কেন, এটা শুধু পীরগঞ্জে না গোটা দেশেই অবদান রাখবে। খনিজ সম্পদের সন্ধান আর উত্তোলন আরম্ভ হলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পাল্টে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. বদরুদ্দোজা মিয়া বলেন, খনিটি রাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য দরকারি হলেও উত্তোলনের ক্ষেত্রে অবশ্য পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিবেচনায় রাখতে হবে। এই খনি অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। কর্মসংস্থানেরও সুযোগ জন্ম হবে। ২০১৯ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুরে একটি লোহার খনির সন্ধান পায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। খনিটিতে শক্তিশালী মানের লোহার পাশাপাশি মূল্যবান কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেখানে প্রায় ৫০ কোটি থেকে ৬০ কোটি মেট্রিক টন খনিজ সম্পদ রয়েছে। ১৯৭৪ সালে দিনাজপুরে মধ্যপাড়ায় মূল্যবান গ্রানাইট পাথরের সন্ধান পায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। ১৯৯৪ সাল থেকে এই খনি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন গ্রানাইট পাথর। ১৯৮৫ সালে এই জেলাতেই আবিষ্কৃত হয় বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি। যেখানে মজুদের পরিমাণ ৩৯ কোটি মেট্রিক টন কয়লা। বড় পুকুরিয়া ছাড়াও এই শ্রেণীতে অনেক কয়েকটি কয়লা খনি রয়েছে।
তথ্য সূত্র-ডেইলি বাংলাদেশ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন