মোঃ সুজা উদ্দিনঃ
 |
ছবি : উত্তর বাংলা ২৪বিডি |
দেশের উত্তরের জেলা রংপুরের মিঠাপুকুরে বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদেরকে উৎসাহ যোগাচ্ছেন সমাজকর্মী মোঃ বাবুল আক্তার। তাই তিনি গড়ে তুলেছেন বিএ এগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন করে স্বল্পমূল্যে কৃষকদের সরবরাহ করার পাশাপাশি অত্র অঞ্চলের বেকার যুবকদের জৈব সার উৎপাদনের কলা কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলার ১২নং মিলনপুর ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর ছেলে বাবুল আক্তার পেশায় একজন হোমিও চিকিৎসক। চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকায় বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। তিনি কেঁচো সার উৎপাদনের লক্ষ্যে কেঁচো চাষ করছেন।
তিনি জানান, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের মাঝে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কারখানায় উৎপাদিত কেঁচো সার প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ইতোমধ্যে তার জৈবসার ব্যবহার করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সেই সাথে ভোক্তারাও পাচ্ছেন বিষমুক্ত শাক সবজি।
বাবুল আক্তার বলেন, কেঁচো সার উৎপাদন করে শুরুতে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করি। তারপর কৃষকদের আগ্রহ দেখে আমার ইচ্ছে শক্তি আরও বেড়ে যায়। বিষমুক্ত ফসলের নিশ্চয়তা তো আছেই, এই কেঁচো সার আর্থিক দিক থেকেও লাভজনক হওয়ায় তিনি জৈবসার উৎপাদনে এলাকার বেকার যুবকদের জড়িত করে বেকারত্ব দূরিকরণের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলায় জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ অনেক বেড়েছে। ফলে এই সারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তিও বাড়ছে এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন