মিঠাপুকুরে গৃহবধূকে হত্যা করে দুর্ধর্ষ বাড়ি ডাকাতি,এলাকায় শোকের ছায়া

মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

ছবি : উত্তর বাংলা ২৪বিডি 

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের বাড়িতে মঙ্গলবার দিবাগত শেষ রাতে (০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং) একটি দুর্ধর্ষ, ডাকাতি ও খুনের ঘটনা ঘটেছে । এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রাচীর টপকিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে । ডাকাতি করার সময় ধস্তাধস্তিতে ডাকাতদের আঘাতে মোরশেদা বেগম বিউটি  নামে এক গৃহবধূ প্রচুর আঘাত প্রাপ্ত হন । সেই সাথে  গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন তার স্বামী মিজানুর রহমান।

ভোররাত্রে আশেপাশের বাড়ির লোকজন , ওই বাড়িতে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে  তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান ।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, মোরশেদা বেগম বিউটির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন মিজানুর রহমান ।

জানা যায়, নিহত মোরশেদা বেগম বিউটি  স্থানীয় ছড়ান ডিগ্রী কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান  হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷

খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে, পুলিশ সুপার, রংপুর মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া সহ ডিবি পুলিশ, পিবি আই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।

মিঠাপুকুর থানার ওসি বলেন,আহত মিজানুর রহমান সুস্থ্য হলে ক্ষতির পরিমাণসহ মূল ঘটনা জানা যাবে।

এ বিষয় নিয়ে ১১নং  বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তারিকুল ইসলাম সরকার স্বপন বলেন,
বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এরকম ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয় । ঘটনাটির, তদন্ত চলতেছে, আশা করি দ্রুত অপরাধীরা  আইনের হাতে আটক হবে। 

রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) আবু হাসান মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে  ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন