চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জিয়াউল হক । পেশায় তিনি একজন সাধারণ দই বিক্রেতা। শহর, বন্দর, হাট-বাজার এবং রাস্তাঘাটে তিনি দই বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। দই বিক্রেতা হলেও তার নেশা সমাজসেবা করা।তাই তাকে সবাই চেনে সাদা মনের মানুষ হিসেবে। এছাড়াও তিনি গরীব শিক্ষার্থীদের দেন বইকেনার টাকা। দরিদ্র মানুষের জন্যে করে দেন নতুন ঘর। কিন্তু নিজের দই বিক্রির জন্যেও একটা স্থায়ী দোকানঘর করেন নি। বিক্রি করেন ফেরি করে। আগামীকালের খাবারের টাকাও তিনি আজ দই বিক্রি করে জোগাড় করবেন!
তাঁর বাবা বইকেনার টাকা দিতে না পারায় ৫ম শ্রেণির পর আর পড়তে পারেন নি। দই বিক্রি করে রোজগার শুরু করেন। অথচ সেই আয় থেকে বাঁচানো টাকায় এখন তার ১৪ হাজার বইয়ের পাবলিক লাইব্রেরি!
সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন নাগরিককে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ১৩ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আইরীন ফারজানার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই দই বিক্রেতারও। সমাজসেবায় অবদান রাখায় এই পদক পাচ্ছেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন