মিঠাপুকুরের ১১নং বড়বালা ইউনিয়নে পপি চাষে গ্রেপ্তারকৃতরা আসলে কেমন ব্যক্তি।

মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

ছবিতে-আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া ও নুর আলম 

গত দুই দিন ধরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়ন সহ বলা চলে পুরো রংপুর জেলায় খবরটি সবার মুখে মুখে। বিশেষ করে যারা অনলাইনে একটিভ বেশি তারা প্রায় সবাই অবগত বিষয়টি।

বিষয়টি হচ্ছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর এর অভিযানে  ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের দুইজন ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন। ওনাদের অপরাধ, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ পপি গাছ চাষ করেছেন তাঁরা।

আসুন নতুন করে জানা যাক,  গ্রেপ্তারকৃত ওনারা কারা ??
একজনের নাম  আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া। পেশায় তিনি মুদী ব্যবসায়ী। ইউনিয়নের ছড়ান হাটে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তিনি অত্র এলাকার সকলের নিকট সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব । তিনি অত্যন্ত একজন ভালো মনের মানুষ, ভদ্র-নম্র, সহজ-সরল আর সাদামাটা নিরহংকারী লোক।

তার গ্রেপ্তারের খবরে , এলাকার লোক হতভম্ব  হয়ে গিয়েছে। কেউ ঠিকঠাক মতো বুঝে উঠতে পারতেছে না ব্যাপারটা কি ?? বুঝবে বা কেমন করে, যে পোস্তের দানা  অত্র এলাকার মানুষ প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী উপজেলা নবাবগঞ্জের ভূমিদহ মন্ডপের মেলা থেকে কিনে এনে ভর্তা করে খায় যুগের পরে যুগ ধরে । সেই পোস্তের দানা (পপি গাছ) চাষের অপরাধে গ্রেফতার হতে হয়েছে দুজনকে ।
আসলে ব্যাপারটা এরকম, গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো জানেই না  যে এই পোস্তের দানার গাছেই পপি গাছ !! আর এটা দিয়ে ভয়াবহ, মা*দক দ্রব্য তৈরি হয় !!

আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া ও নুর আলমের গ্রেফতারের ভিডিও চিত্র "নিউজ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে । সেখানে আব্দুল ওয়াহেদ মিয়াকে দেখা যাচ্ছে সরল স্বীকার  উক্তি দিতে! মনের মধ্যে কোন কিন্তু নেই যার। যা সত্য তা তিনি সরল মনে নির্দ্বিধায় বলতেছেন । আসলেই তো, তাঁর মনে তো কোন কিন্তু থাকার কথা নয়। তিনি তো কোন মা দ ক কারবারি নয়!
হয়তো'বা, পোস্তের দানা বা পপি গাছ চাষ করার বিষয়টি  যে নিষিদ্ধ সেটা তিনি জানতেন নেই না !
শুধু তিনি কেন? বলা চলে এই এলাকার ৯৯% লোক জানে না এটা চাষ করা অপরাধ।
আর এটা দিয়ে ভ য়া ব হ   মা দ ক তৈরি করা হয়!
এতো ভ য়ং ক র   মা দ ক জানলে কেউ বাসার সামনে লাগাতো না বলে মনে হয়।

আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই  গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া ও নুর আলম এর বিষয়ে অত্র এলাকার মানুষের নিকট একটু জানার চেষ্টা করুন। দেখবেন, প্রায় শতভাগ লোক  তাদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে উপাধি দেবে!  এবং এটাই বাস্তবতা ।
আইন প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আহ্বান রইলো এলাকায় এসে সরেজমিনে তাদের সম্পর্কে জনগণের মাঝে জরিপ করে দেখুন, সাধারণ জনগণ কি বলে...??

বিশেষ দ্রষ্টব্য, মা দ ক কারবারি সহ   মা দ ক সেবীদের  আমরা পক্ষপাতিত্ব করিনা । আমরা চাই, নির্দোষ ব্যক্তিরা মুক্তি পাক, বাস্তবতায় যারা আসল মা দ ক কারবারি তারা শাস্তি পাক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন