মোঃ সুজা উদ্দিনঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। লোভে পড়ে নানান বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হচ্ছেন। জুয়ার নেশায় বিভোর হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই। এ কারণে অনেক গুন বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ।
জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে কেউ আবার জড়িয়ে পড়ছে চুরি ডাকাতের মত মারাত্মক অপরাধে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সদর থেকে শুরু করে মিঠাপুকুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় এই জুয়া বিস্তার লাভ করছে।
এটা শুধু মিঠাপুকুর এরই চিত্র নয়! গোটা রংপুর জেলা জুড়ে একই চিত্র বিরাজমান।
সহজে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ এই জুয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এই খেলা শুরুর পরেই নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছেন হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা।
আগেকার সময় কালে এসব জুয়া খেলতে সরাসরি দেখা যেত! কিন্তু বর্তমান সময়ে এই জুয়া ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন রূপ পেয়েছে। এর ফলে ঘরে বসেই মানুষজন অনলাইনে বিভিন্ন জুয়ার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন। এসব অনলাইন জুয়ায় আসক্ত বেশির ভাগই স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তরুণ প্রজন্ম, যা বাংলাদেশের জন্য একটি অশনিসংকেত। এখন মা-বাবাসহ অভিভাবকেরা অনলাইনে জুয়া খেলা যায় এসব বিষয়ে না জানার ফলে তাঁদের আদরের সন্তানেরা মুঠোফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করছে নাকি জুয়া খেলছে, বুঝতেও পারেন না। ফলে শাসন করারও তেমন সুযোগ থাকছে না।
তাহলে এই অনলাইন জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবে কে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন