মোঃ সুজা উদ্দিনঃ
চলছে পবিত্র মাহে রমজান, সেই সাথে শুরু হয়েছে প্রচন্ড গরম। আর এই গরমে মানুষ নিজেকে শীতল রাখতে অনেক কিছুই করে থাকেন। নিজেকে শীতল রাখতে গিয়ে, তরমুজ,শসা সহ ডাবের পানি খেয়ে থাকেন ।
তবে, এগুলোর পাশাপাশি কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে আখের গুড়ের শরবত । বলে রাখা ভালো,গুড় সাধারণত যেকোনো অসুখ থেকে রক্ষা করতেও শরীরকে শক্তি জোগায়।
প্রচন্ড এই গরমে, আখের গুড়ের শরবত হতে পারে শরীর শীতল করার অন্যতম উপায়। প্রচন্ড এই গরমে কোল্ড ড্রিংকস না খেয়ে আখের গুড়ের শরবত খেলে শরীর জুড়ানোর পাশাপাশি এর সঙ্গে নানান ধরনের উপকারের দিকগুলো তো আছেই ।
লক্ষ্য করা যায়, আজকাল ঘরে ঘরে স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা লেগেই আছে, আর সেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতেও কিন্তু চিনি একেবারে না খাওয়ার পরামর্শ দেয় ডাক্তাররা। পরিবর্তে গুড় খেতে বলেন তাঁরা।
তবে,যারা ভয় পান যে গুড় খেলে সুগার লেবেল বেড়ে যায় কি না, তাদের এমন বিভ্রান্তি থাকলে আখের গুড় না খাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে তালের গুড় খেতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক আখের গুড়ের শরবতের কিছু উপকারিতা :
১। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিয়ে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
২। গুড়ের শরবত ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রাখে।
৩। গুড় নিজে শরীরে তাপ উৎপাদন করে, তবে এই তাপ শরীরে গরম তৈরি করে না, এটি শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য রাখে। এতে আছে উচ্চমানের ক্যালোরিফিক, যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।
৪। সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠাণ্ডার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে গুড়। এটি ক্ষতিকর অণুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে। পেটের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, যার কারণে শরীরে গরমজনিত কারণে ডিহাইড্রেশন কমায়।।
৫। গরমে আরেকটি খারাপ দিক হচ্ছে কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস কাশি হয়। আর এসব দূর করতে সাহায্য করে গুড়। এ ছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন- কফ বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।
৬। গলা শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমায়। গুড়ের মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম। যা দেহে পানির প্রবাহ ধরে রাখে।
৭। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারাও কিন্তু নির্ভয়ে খেতে পারেন গুড়ের শরবত।
সবচেয়ে আকর্ষণ করার বিষয় হচ্ছে এই গরমে শরীরকে শীতল রাখতে গুড়ের শরবতের জুড়ি নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন