রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় যমুনেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙনে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং কবরস্থানসহ বহু স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে হাজার হাজার মানুষ তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতি বছরই ভাঙনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়ন, ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন, ১২নং মিলনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। নদীগর্ভে চলে গেছে শত শত একর আবাদি জমি। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। বাপ-দাদার ভিটা ও কবরস্থান নদী গ্রাস করায় অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী স্থানীয়রা জানান, প্রতি বর্ষায় ভাঙন শুরু হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু দায়সারা কিছু কাজ করা হয়। এতে সাময়িকভাবে কিছুটা স্বস্তি এলেও স্থায়ী সমাধান হয় না। তাই দ্রুত নদী শাসন ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধু আশ্বাস নয়, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা হোক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন