মানুষ যেন ভোট দেয় সেই পরিবেশ তৈরি করুন-প্রধানমন্ত্রী

উত্তরবাংলা ২৪বিডি ডেস্ক:


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ যেন ভোট দেয়, সেই পরিবেশ তৈরি করতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে উনি বলেছেন, আপনারা তৃণমূলের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সেবক। আপনারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে মানুষের আস্থা অর্জন করে এগিয়ে যাবেন। মানুষ যেন আবার ইলেকশন দেয়, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।


বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাড়ি গণভবনে জাতীয় স্থানীয়  দিবস ২০২৩ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভ্যর্থনা জানান।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্থানীয় গর্ভনমেন্টের বাজেট বৃদ্ধি ব্যতীতও নানারকম ধাপে নির্বাচিতদের পদমর্যাদা নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশি সম্মানি বৃদ্ধির দাবি জানান জনপ্রতিনিধিরা। তারা বলেন, সিলেক্টেড জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় গর্ভনমেন্টের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপদের সমাধান তার সাথে শক্তিশালী করা হলে একদিন এসব ইন্সটিটিউট রাষ্ট্রের অনেক বিপদের সমাধানে এগিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের পদমর্যাদা নির্ধারণ তার সাথে সম্মানি বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে কোনো বিশ্বাস দেননি প্রধানমন্ত্রী।


দেশের আট বিভাগের সব সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, থানা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় সরকার, পল্লী অগ্রগতি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় গভর্নমেন্ট ক্যাটাগরি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাদের ভিতরে ছিলেন নির্বাচিত মেয়র ও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। সব মিলিয়ে আট হাজারেরও অধিক উপস্থিত জনপ্রতিনিধির মধ্য থেকে ২৭ জন বক্তৃতা করেন।


শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্থানীয় গর্ভনমেন্টের জনপ্রতিনিধিরা। আগামী সংসদ নির্বাচনে আগের চেয়েও অধিক ভোটে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে তারা বলেন, দেশের আধুনিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা ঐক্যবদ্ধ হতে আগামী নির্বাচনে তৎকালীন চেয়েও রেকর্ড ভোটে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনবেন।


জনপ্রতিনিধিদের বক্তৃতা শেষ হলে অনুষ্ঠানের অতুলনীয় অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই, আজ যে দীর্ঘদিনের উন্নয়নের ফসল, এটা যেন অব্যাহত থাকে। দেশকে কেউ যেন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য না পারে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আমরা এইরকম আলোকিত করে বিশ্বের বুকে মাথা খানদানি করে দাঁড়াব। সারা দেশ হতে এসেছে স্থানীয় রাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ তার সাথে মশার হাত হতে বাঁচতে হলে মশারি প্রয়োগ করতে হবে। আশপাশের ঘরবাড়ি ক্লিয়ার রাখতে হবে। নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। এজন্য বাড়ির চারপাশ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেজন্য নিরলস ও সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক নীতি ছিল বলেই গ্রামপর্যায়ে উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। আবারও সুযোগ পেলে প্রত্যেকটি গ্রামকে শহরের মতো তৈরি করে তোলা হবে। আমরা ২০০৯ সালে  গঠনের পর স্থানীয় সরকারকে অধিক অর্থ বাজেট দিয়ে তৃণমূলে উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছি। কষ্টের এ ফসল যেন কেউ বিকৃত করতে না পারে। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, সেরকম করেই সবাইকে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতা অসমর্থ হয়নি, ব্যর্থ হতেও আমরা দেব না।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো অনেক গ্রামে কাঁচা রাস্তা আছে। সেগুলো আল্লাহর রহমতে কাঁচা থাকবে না। আবারও যদি জনগণের পরিসেবা করার সুযোগ পাই, অবশ্যই আমরা সেগুলো করে দেব। প্রতিটি গ্রাম শহরের মতো করে তৈরি করে উঠবে।


খাদ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাড়ির চারপাশ ক্লিয়ার ও পরিচ্ছন্ন করাই নয়, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। সব জায়গায় ফসল ফলাবেন। তাতে আপনারাই লাভবান হবেন। আমি লাভবান হয়েছি। আমার মা-বাবার যে জমি ছিল, এর কতিপয় অংশ চাষ করেছিলাম। ব্যয় বাদে ২ লাখ ২৭ হাজার টাকা রোজগার হয়েছে। ২৭ হাজার টাকা সবাইকে বিলিয়ে দিয়েছি। কাজেই নিজেরা ফসল ফলাব, নিজেরা খাব। কারও নিকট হাত পাততে হবে না। আমি আবদার করব-আপনারা নিজেদের জমি চাষ করেন, গাছ লাগান, তড়িৎ প্রয়োগে সাশ্রয়ী হোন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কোনো লোক নির্বিত্ত থাকবে না। নানানভাবে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। আমাদের যা ধনদৌলত আছে, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। সেভাবে কাজ করছি। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছি তার সাথে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে বলেই এ কাজ করে যেতে পারছি। গ্রামপর্যায়ে অগণিত রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, কালভার্ট করে দিয়েছি। এখনো গ্রামে প্রচুর পথ কাঁচা আছে, সামনে ক্ষমতায় এলে সব পাকা করে দেব।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে ক্ষমতায়ন করে ২য় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা দিলেন, তখনই এলো আঘাত। জাতির পিতাকে সপরিবারে শাহাদতবরণ করার জন্য হলো। আমি হারালাম বাবা-মা, ভাই-বোন। তবে পেয়েছি সুবিশাল জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের মানুষই আমার আপনজন। তারাই আমার সব শক্তি। আমি ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করেছি। মন্দির ও প্যাগোডা-যখন যেখানে যেটা দরকার করে দিয়েছি।


তিনি বলেন, তৃণমূলের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী সাহায্য ব্যাংক করে দিয়েছি। তারা তো এ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও এখনো দালালের ফাঁদে পড়ে বিদেশে গিয়ে ঝামেলায় পড়ে। এগুলো খেয়াল রাখবেন। পাশাপাশি মাদকের বিপক্ষে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। কেউ যাতে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে না জড়ায়, সেটা আপনাদের দেখতে হবে।


গণভবনে উপস্থিত সারা রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আপনাদের উপস্থিতিতে গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে। তৃণমূল মানুষের কর্মচারী হিসাবে আপনারা এখানে এসে কথ্য দিয়েছেন, আপনাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্মানি ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে দিন। এটায় নিউ করে কোনো ব্যয় করতে হবে না। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পাশাপাশি জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের পদমর্যাদা নির্ধারণের দাবিও করেন তিনি।


রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জলবায়ু ফান্ড থেকে রাজশাহীতে বাজেট দেওয়ার আহ্বান জানান। উনি বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুসারে প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও সিটি কর্পোরেশনে খেলার মাঠ, ছোট বাচ্চা পার্ক ও বিনোদনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। অথচ দরকারী জায়গার অনটনে সেটি করা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের আয়ত্ত থাকা সরকারী খাসজমি সিটি করপোরেশনকে দেওয়া যেতে পারে।


খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হলে একদিন এ ইন্সটিটিউটগুলো গর্ভনমেন্টের প্রচুর সমস্যার সমাধান করতে পারবে।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জগতের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশকেও বলেছেন, ‘তোমাদের কান্ট্রিতে গেলাম না। প্রয়োজনে অন্য মহাদেশ খুঁজে নেব।’ এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যার সাহসী নেতৃত্ব। আগামী সংসদ নির্বাচনেও জয় আমাদের সুনিশ্চিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আগামীবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।


পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী বলেন, বিএনপি-জামায়াত কে কী ভাবল না ভাবল, সেটা বিষয় নয়। আপনার শাসনামলকে ইতিহাসই চিরদিন চিন্তা করবে। আগামী দিনে আপনাকে প্রধানমন্ত্রী পরিমাণে দেখতে চাই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেই আপনাকে প্রধানমন্ত্রী সিলেক্টেড করব।


নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন, ততদিনই উনি প্রধানমন্ত্রী পরিমাণে রাষ্ট্রের সার্ভিস করে যাবেন-এটাই আমাদের প্রত্যাশা। দেশের ৩২৯টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অঙ্গীকার করেছেন আগামীবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পরিমাণে নির্বাচিত করবেন।

নাটোর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। এমন কোনো ক্যাটাগরি নেই, যেখানে তার উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ক্যাপিটাল সিটির (রাজধানী ঢাকা) কাউন্সিলরদের পদমর্যাদা সিলেক্ট এবং তাদের সম্মানি বৃদ্ধির আরজি জানান। তিনি বলেন, সর্বশেষ জরিপ অনুসারে রাষ্ট্রের ৭৩ ভাগ মানুষের ভোটে আওয়ামী লীগ জয়লাভকারী হবে। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে দেন এই কাউন্সিলর।

চাঁদপুরের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, স্থানীয়  কর্মচারীদের যথাযথ সম্মান দেখালে তারা দেশ ও মানুষের জন্য আরও অধিক করে কাজ করার জন্য পারবেন। তাই তাদের সম্মানি স্থানীয় গর্ভনমেন্টের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় করে বৃদ্ধির আবেদন করেন তিনি।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় এইরকম বক্তৃতা করেন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পেয়ারুল ইসলাম, থানা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. হারুন-অর রশীদ হাওলাদার, চট্টগ্রামের রাউজান থানা চেয়ারম্যান একেএম রেজাউল হায়দার চৌধুরী বাবুল, আবরণ উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াসমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মেম্বার বাবুল মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ মেম্বার শারমিন নাহার, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনজির হেলাল, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শুকুর আহমেদ, চট্টগ্রামের রাউজান থানার রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহিম।

(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন