উত্তরবাংলা ২৪বিডি ডেস্ক:
আশুলিয়া হতে চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল নীলফামারীর সৈয়দপুর হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চোর চক্রের মূলহোতা মো. শাহ আলম দুখুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত্রিতে গোপনীয় খবরের ভিত্তিতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার নিয়ামতপুর বিসিক শিল্পনগরী এরিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপারটা শিওর করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া উপজেলার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেপ্তার মো. শাহ আলম দুখু (৪০) নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত গমির উদ্দিনের ছেলে। সে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সেরা দলনেতা। তার অ্যাকটিভ কর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগোপনে মোটরসাইকেল চুরি করে উত্তরবঙ্গ এলাকায় নিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে ৯টার দিকে আশুলিয়ার কলতাসুতী ডোমনা মাজার রোড এলাকার শাহিদুল ইসলামের পোলা জাহিদুল ইসলামের (২৮) ব্যবহারকৃত লাল রংয়ের ১৫০ সিসি ইয়ামাহা ফেজার মোটরসাইকেলটি তার বাড়ির নিচতলার কেচি গেটের ভিতর থেকে চুরি যায়। যার আনুমানিক দাম ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
তিনি জানান, মোটরসাইকেলটি চুরির বিষয়ে ১টি সিসি টিভির সূত্র ধরে ও গোপনীয় নিউজের ভিত্তিতে সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর এলাকা হতে তাকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে দুখুর বাড়ির ১টি কক্ষ হতে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই শাহ আলম স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। ইফেক্ট খাটিয়ে এলাকায় এসব খারাপ কাজ করে আসছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার শাহ আলম সক্রিয় মোটরসাইকেল চোরের দলনেতা। মূলত মোটরসাইকেলটি চুরি করে ১ম গ্রুপটি দিনাজপুর নিয়ে যায়। পরে দিনাজপুর হতে অন্যটি গ্রুপ হয়ে সৈয়দপুরে শাহ আলমের কাছে পৌঁছায়। শাহ আলম হলো চোরের মাফিয়া।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন।
(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন