কৃষি ডেস্ক:
বিটল ছাগলটি ইন্ডিয়ার ১টি জাত। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের কতিপয় এশিয়ান দেশগুলির ১টি অতি জরুরি ছাগল প্রজনন। জামুনপুরী ছাগলের সাথে এর বেশ মিল রয়েছে। এরা অত্যন্ত দুধ উৎদনশীল প্রজাতির ছাগল।
দুধ এবং মাংস, এই দুই-এর জন্য কান্ট্রিতে ছাগলের ডিমান্ড প্রচুর। দেশে নানারকম প্রকারের ছাগলের পালন করা হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল (Black Bengal) পালন করা হলেও আজকাল বিটল ছাগলের (Beetal Goat) চাহিদাও বাড়ছে একটু একটু করে। বেশি সংখ্যায় দুধ তার সাথে মাংসের জন্য এই গোত্রের ছাগল পালনে উৎসাহ প্রকাশ করছেন পশুপালকেরা। এ জাতটি নিজেদেরকে পরিবেশ এবং জলবায়ুর সঙ্গে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে।
বিটল ছাগলের শারিরীক গঠন
এদের শারীরিক গঠনের জন্য সহজেই এদের আলাদা করে চিনতে পারা যায়। এদের পা লম্বা, কান ঝোলানো প্রকৃতির। লেজও তুলনামূলকভাবে ছোট এবং এদের সিং মোড়ানো অবস্থায় থাকে। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৮৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এই বংশের ছাগল। তাদের দেহ কম্প্যাক্ট তার সাথে ভাল উন্নত। লম্বা আকারের পা তার সাথে কান। Ears pendulous হয়। এ ছাগলের মাথা একটি রোমান নাক জয়েন বৃহদায়তন এবং বিস্তৃত।
বিটল ছাগলের বৈশিষ্ট্য
এদের দুগ্ধ প্রদানের ক্ষমতা দৈনিক গড়ে প্রায় ২.৫ হতে ৪ লিটার। পোলা বিটল ছাগলের ওজন প্রায় ৫০-৬০ কেজি হয় তার সাথে কন্যা বিটল ছাগলের ওজন প্রায় ৩৫-৪০ কেজি পর্যন্ত হয়। মূলত খাবার হিসেবে চারণ কৃষিখেত প্রয়োগ করা হয়। এরা প্রায় সব ধরণের গাছপালা, পাতা, ঘাস খেয়ে থাকে। কিন্তু বহু দুধ এবং মাংসের জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর আহার দেওয়ার জন্য হবে এদের। মহিলা ছাগল ২০-২২ মাস বয়সে প্রথমবারের মতো বাচ্চাদের আবির্ভাব দেয়।
বিটল ছাগলের ঘর
বিটল ছাগল প্রধারনত শুষ্ক জায়গা পছন্দ করে। এইজন্য ছাগলদের সুস্থ ও উৎদনশীল রাখার জন্য ছাগলটির ঘর সবসময় শুষ্ক ও ক্লিয়ার রাখা অতিশয় জরুরী। সাধারণভাবে ছাগলটি দিনে এবং রাতে শুকনো তার সাথে আরামদায়ক কামরায় রাখলে সেগুলি আরও বেশি উৎপাদন করবে।
বিটল ছাগলের পরিচর্যা
এদের বেশ ভালো রকম পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। যদিও এরা সব প্রকারের আবহাওয়াতে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম৷ গর্ভবতী বিটল ছাগলকে (Beetal Goat) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তার সাথে শুকনো স্থানে রাখতে হয়। ৬-৮ সপ্তাহ প্রথমে দুধ নেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। তাদের ভাল মানের ভাল সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য দরকার। তাদের অন্ন আমিষ তার সাথে কার্বোহাইড্রেট পর্যাপ্ত অনুপাত শিওর করার জন্য হবে। পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিষ্কার ও তাজা জল যোগাড় করতে হবে।
বিটল ছাগলের বাচ্চার যত্ন
বাচ্চা আবির্ভাব নেওয়ার পর স্বচ্ছ সূক্ষ্ম কাপড়ে তাকে ক্লিয়ার করার জন্য হবে। এর নাক, মুখ, কান-এর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সৃষ্টির পর যদি শিশু শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয় বা এই বংশের ছাগলের কোনও রোগের উপসর্গ নোটিশ দেয় তাহলে লেট না করে জন্তু চিকিৎসকের নিকট যাওয়া উচিত।
বিটল ছাগলের প্রজনন
একটি পুরুষ বিটাল ছাগল তাদের ১২-১৫ মাস বয়সে পরিপক্ক হয়ে ওঠে। এবং একটি ছাগী তাদের ২০-২২ মাস বয়সে প্রথম ছোট্ট শিশু প্রসব করে। প্রতি বছর ছাগী এক জোড়া করে ছোট বাচ্চা দেয়।
বিটল ছাগলের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা উদাহরণসরূপ বেশি, তেমনই অধিক মাংসের জন্য এদের বাণিজ্যিক মূল্যও বেশ চড়া। এইজন্য পশুপালকদের নিকট ধীরে ধীরে এই গোত্রের ছাগলের চাহিদা বাড়ছে।
(তথ্য ও পিকচার সংগ্রহীত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন