বদরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসের জরাজীর্ণ অবস্থা

উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্ক :


রংপুরের বদরগঞ্জ থানা পোস্ট অফিসের ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির পরিবর্তন না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাঁচি।' এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন ছাদের দিকে তাকিয়ে। ওই স্থান পরিসেবা দেওয়ার জন্য আসা লোকজনও থাকেন ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ার আশঙ্কায়। একতলাবিশিষ্ট এই ভবনটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সেই অফিসের কর্মকর্তারা। ওই পোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, পোস্ট অফিসের ভবনটি ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয়েছে। দেড় যুগ শুরুতে অবিরাম ভবনটি গ্যাঁতসেতে হয়ে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বদরগঞ্জ পোষ্ট কাজের জায়গায় সরেজমিনে দেখা গেছে, অফিসের সামনের বাউন্ডারি ওয়াল সম্পূর্ণ বিধাত। অফিসের ভেতরে পরিস্থিতি  করুণ। ছাদের অর্ধেকের বেশি জায়গার পলেস্তারা খুলে রড বের হয়েছে। সেই রডগুলোতে জং ধরেছে। অফিসের ভেতরে ভয় আর শঙ্কা নিয়ে অফিসিয়াল কাজকর্ম চালাচ্ছেন কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। এদিকে পোস্ট অফিসের বাইরের ওয়ালও ভেঙে পড়ে আছে। 

বদরগঞ্জ পোষ্ট কাজের জায়গায় সার্ভিস নিতে আসা আশরাফ আলী বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিসে আসা-যাওয়া করি। প্রতি মাসের মধ্যে পোষ্ট কাজের জায়গায় আসতে হয় টাকা নিতে। তবুও সব সময় ভয়ে থাকতে হয়। কোন টাইম ঊর্ধ্বের ছাদ ধসে পড়ে মাথার ওপর।'

পোস্টাল অপারেটর মোস্তাক আহমেদ বলেন, “ভবনে ঢোকার শুরুতে খোদাকে স্মরণ করি। কাজের ভিতরে ডুবে থেকেও নাথার ওপরে ছাদের দিকে তাকাই। সকাল বেলা ৮টা থেকে বিকেল পাহাড় কাজ শেষে বের হতে পারলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচি।

ডাকপিয়ন আফছার আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির এই জরাজীর্ণ অবস্থা। আধুনিক আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। আমাদের জীবনের কি কোনো মূল্যই নেই?

উপজেলা পোষ্ট অফিসের পোস্ট-ই-সেন্টার ট্রেইনার মোকাদ্দেস মণ্ডল বলেন, '২০১৪ সাল থেকে উপজেলা পোষ্ট অফিসে ট্রেইনার হিসেবে আছি। প্রতিদিন ছাদ থেকে একটু একটু করে পলেস্তারা খসে পড়ে। সবসময় আতঙ্কে থাকি। ভবনটি সংস্কার করা খুবই ইম্পোর্টেন্ট হয়ে পড়েছে।

উপজেলা পোষ্টমাষ্টার মো. ইউনুছ আলী বলেন, 'আমি ৫ মাস শুরুতে উপজেলা পোষ্ট কাজের জায়গায় যোগদান করেছি। ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থা। ভবনটি ডেপুটি পোষ্টমাষ্টার জেনারেল প্রদীপ কুমার দেখে গেছেন। আশা করি দ্রুত পোষ্ট তামিল ভবনটি সংস্কার হবে।'

পোষ্ট অফিসের সাবেক পোষ্টমাস্টার খোরশেদ আল জাगान, আমি যখন ১৯৮১ সালে পোষ্ট কাজের জায়গায় যোগদান করি সেই সময় চিনশেডের বেড়া ছিল। পরে ১৯৮৮ সালে ৪ শতক জমির উপর পোষ্ট অফিস আলয় নির্মিত হয়। দীর্ঘ বছরেও ভবনটি পরিবর্তন না করায় সম্প্রতি ভবনের অবস্থা নাজুক। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার ভবনটি দেখে গেছেন। তা সত্ত্বেও কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নিচ্ছেন না।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন