কোন রঙের ডিমে পুষ্টি বেশি? সাদা নাকি লাল

 উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ


আমাদের ডেইলি যেসব খাদ্য অধিক দরকার হয়, তার একটি হলো ডিম। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় ডিম ব্যতীত চলে না অনেকেরই। এই এক ডিম দিয়ে প্রস্তুত করা যায় অগণিত পদের খাবার। এটা সব বয়সীদের কাছেই সমান পছন্দের। ডিম ভাঙার পরে এর অভ্যন্তরীণ কুসুমের দিকে  করবেন। কোনোটি গাঢ় আবার কোনোটির রং হালকা। অনেক মানুষ বলেন, রং ভিন্ন হওয়ার কারণে এর পুষ্টিগুণও আলাদা।

ডিমের কুসুমের রং যত গাঢ় হয়, ডিম তত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এটি কি প্রকৃতপক্ষে সত্যি? চলুন দেখা যাক। আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর গবেষকরা ডিম নিয়ে নিজেদের গবেষণার কথা জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ১টি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে থাকে ৭২ ক্যালরি ও ৪ দশমিক ৭৫ গ্রাম ফ্যাট।

এবার রং নিয়ে আলোচনা করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিমের কুসুমের রং মূলত নির্ভর করে মুরগি কী খাচ্ছে তার ওপর। ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের ইফেক্টে ডিমের কুসুমের রং কমলা হয়। মুরগি যত অধিক উন্মুক্ত করা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে, ডিমের কুসুমের রং ততই গাঢ় হবে। অনেক খামারে মুরগিকে ক্যারোটিনয়েড উন্নত খাবার দেওয়া হয়। যে কারণে সেসব মুরগির ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হতে পারে দু’টি কারণে। প্রথমত, যদি মুরগিটি উন্মুক্ত করা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায় তার সাথে প্রাকৃতিক আহার হতে পুষ্টি পায়। দ্বিতীয়টি হলো, যদি মুরগিটিকে বিশেষ ধরনের আহার খাওয়ানো হয়।

বিভিন্ন রিসার্চে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর আহার খুঁজে  মুরগির ডিমে খামার বা পোলট্রির মুরগির চেয়ে অধিক ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আর এ ধরনের মুরগির ডিমের রংও গাঢ় হয়।

ডিমের দুই ধরনের রঙের কুসুমের পুষ্টিগুণের তফাৎ কতটা? তত্ত্বানুসন্ধানে দেখা গেছে, কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব একটা তফাৎ হয় না। আবার সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। যে কারণে লাল বা সাদা যাই হোক না কেন দু’ধরনের ডিমই উপকারী।

(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন