নানারকম বর্ণিল আয়োজনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন।

উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ

বর্ণিল আয়োজনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল  সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া প্রতিকৃতিতে (অস্থায়ী) পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ সরণি প্রদক্ষিণ করে এক নম্বর গেট সংলগ্ন পার্কের মোড় ঘুরে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২২টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা ও বিকেল সাড়ে ৪টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ বর্ষের ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টি রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মরণে নাম সংস্কার করে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হয়। এটা রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

২০০৯ বর্ষের ৪ এপ্রিল তিনটি অনুষদের অধীনে ছয়টি সেক্টরে ৩০০ ছাত্রছাত্রী, ১২ জন শিক্ষক, একজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে ইউনিভার্সিটির অস্থায়ী ক্যাম্পাস রংপুর নগরীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ২০০৮ হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত টেম্পোরারি ক্যাম্পাসে চলে এ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

রংপুর শহরের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়ের নিকটবর্তী ৭৫ একর জায়গার উপর ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর’ এর স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। ২০১১ বর্ষের ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছয়টি অনুষদ, ২২টি বিভাগ, ৫টি ইনস্টিটিউট, প্রায় সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী, ১৯২ জন শিক্ষক, ১৩৪ জন কর্মকর্তা, ৪৮৯ জন কর্মচারী রয়েছে।


(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন