রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের আটপুনিয়া গ্রামে উচ্চ ফলনশীল আম বাগানে সাথী ফসল হিসেবে উন্নত জাতের তরমুজ চাষের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তার নাম ও সহযোগীতা:
ছড়ান নিউজ২৪ এর এডমিন মোঃ সুজা উদ্দিন এই নতুন চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ছড়ান বাজারের "কাইফা বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোঃ কাওছার আলীর পরামর্শে অনুপ্রাণিত হন। এই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য তিনি এগ্রো ওয়ান কোম্পানির উন্নত জাতের চারা 'কৃষকের আস্থা নার্সারি' থেকে সংগ্রহ করেছেন।
প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন:
ইতিমধ্যে জমিতে তরমুজের চারা রোপণের জন্য আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে 'মালচিং পেপার' বিছানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এটি একদিকে যেমন মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে, তেমনি আগাছা দমন ও ফলনকে দ্রুত করতেও ভূমিকা রাখবে।
উদ্যোক্তার প্রত্যাশা:
উদ্যোক্তা মোঃ সুজা উদ্দিন আল্লাহর রহমতে সব কিছু ঠিক থাকলে উক্ত প্রকল্পে আশানুরূপ ফলাফল আসবে বলে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
কৃষি বিভাগের মন্তব্য:
মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি বিভাগ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এর আগে মিঠাপুকুরে বড় পরিসরে তরমুজের বাণিজ্যিক চাষ হতে দেখা যায়নি। তারা আরও জানিয়েছেন, সঠিক জাতের চারা ব্যবহার এবং যথাযথ পরিচর্যা নিশ্চিত করা গেলে মিঠাপুকুরের মাটি থেকেও তরমুজ চাষে ভালো ফলাফল আশা করা যায়। কৃষি বিভাগ এই উদ্যোগ সফল করতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।
এই নতুন উদ্যোগের সফলতা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উচ্চ মূল্যের ফসল চাষে আগ্রহ সৃষ্টি করবে এবং এলাকার কৃষি উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন