ঈশ্বরদীতে টাকা দিলেই মিলছে চুরি যাওয়া মিটার

উত্তরবাংলা ২৪বিডি ডেস্ক:


পাবনার ঈশ্বরদীতে দেদারছে চুরি হচ্ছে বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের মিটার। চোর চক্র ওই স্থান মুঠোফোন নম্বর লিখে রেখে যাচ্ছে। সে নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা মিটারপ্রতি ৫-১৫ হাজার পর্যন্ত দাবি করছে। পরে চাহিদা অনুসারে টাকা বিকাশে পাঠালে তারা মিটার ফেরত দিচ্ছেন।


স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিনে উপজেলার মুলাডুলি ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামে ২০-২৫টি মিটার চুরি হয়েছে। মিটার চুরি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।


ভুক্তভোগীরা জানায়, দিন-রাতে সমানতালে লোডশেডিং চলে। কয়েকটি দিন আগে রাতে চোর চক্র বহরপুর গ্রামের ১৫টি মিটার খুলে নিয়ে যায়। সকাল বেলা পর্যন্ত কারেন্ট না কড়া বৃষ্টিপাত আশপাশে খোঁজ নিয়ে টার্গেট যায় কারেন্ট আছে। পরে মিটারের নিকট গিয়ে টার্গেট যায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার চুরে নিয়ে গেছে। মিটারের বক্সের সাথে একটি মুঠোফোন নম্বর লিখে কাগজ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।


ভুক্তভোগী খায়রুল বাসার রাসেল বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে কারেন্ট চলে যায়। আমি ভেবেছি লোডশেডিং হয়েছে। প্রভাতে আমার বাড়ির অন্য অংশে আরেকটি মিটার ছিল ওই স্থান বিদ্যুতের সংযোগ দেখতে পেলাম। পরে বাড়ির ও ধান চাতালের মিটার নিকট এসে দেখি সেগুলো চুরি হয়ে গেছে। ওই জায়গা চোরের রেখে যাওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন একটি মিটারের জন্য বিকাশে ১৪ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য হবে। পরে দরদাম করে মিটার দুটির জন্য বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি। এরপর তারা জানালো একটি মিটার ধানের খড়ের পালায় ও অন্যটি খাদের সাইডে রাখা আছে। মিটার চুরির পর পল্লি বিদ্যুতের কাজের জায়গায় গিয়েছিলাম। বিদ্যুৎ অফিস হতে বলা হয় নতুন মিটার নিতে হলে ১৫-১৭ হাজার টাকা  হবে। আপনারা চোরদের ম্যানেজ করে মিটার ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করুন এতে খরচা কম হবে।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবুল বাসার আশ্বাস বলেন, যেরকম ভাবে মিটার চুরি হচ্ছে তা সাধারণ চোরের পক্ষে চুরি করা পসিবল নয়। যারা বিদ্যুতের কাজের সাথে সম্পৃক্ত তারাই এসব চুরি করছে। কেবলমাত্র মিটারই না বিদ্যুৎ টাওয়ারের তার পর্যন্ত কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব চুরির ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের ফাস্ট গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

বহরপুর গ্রামের শাহানুর রহমান  বলেন, মিটারের চুরির পর এগুলো আশপাশের গোপনে রেখে গেছে। ভুক্তভোগীরা টাকা দেয়ার পর তারা মিটার কোথায় রয়েছে তা বলে দিচ্ছে। একমাত্র এ এলাকাতেই নয় পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর, মুলাডুলি, দাশুড়িয়া ও রাজাপুর অঞ্চলে মিটার চুরি হয়েছে।

পাবনা পল্লী তড়িৎ  দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত কমপ্লেইন দেওয়া হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) অরবিন্দ গভর্নমেন্ট জানান, তড়িৎ দফতর থেকে ১টি কমপ্লেইন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত আয়োজন নেওয়া হবে।


(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন