বগুড়ায় টাকা দাবি করে "শেডো" বাহিনীর পোস্টারিং

উত্তরবাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ

বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দরজা ও দেয়াল রহস্যময় হুমকির পোস্টারে আতঙ্কিত গ্রামবাসী। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতের যেকোনো সময় পোস্টারগুলো লাগিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা । টাকা না দিলে শিশুদের ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় এই পোস্টার এর মাধ্যমে ।
জানা গেছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ৩০০-৪০০ ঘরের দেয়াল এবং নিমিত্ত দরজায় ‘শ্যাডো’ নামে এক বাহিনীর পোস্টার বন্ধ করা হয়েছে।  পোস্টারে লেখা রয়েছে, আসসালামু আলাইকুম, সর্বনিম্ন ২০০০ হতে ৫০০০ টাকা ৬ তারিখের ভিতরে দেওয়ার জন্য হবে। না হলে ৭ তারিখ থেকে আপনাদের মহিলা ও পুরুষ হারিয়ে গেলে আমার কোনো কিছু করার থাকবে না। আমি বা আমরা কে সেটি না খুঁজে আমি যা বলছি সেটা করার ট্রাই করেন। তাহলে কিচ্ছু হবে না। ঈষৎ কয়েকটি অর্থের জন্য বাচ্চাদের সমস্যায় ফেলাবেন না। যদি ছেলে মেয়েদের মঙ্গল চান তাহলে লোয়া জলাশয়ে সোলার লাইটের সঙ্গে যে বক্স থাকবে নিজের অর্থের সাথে নাম কাগজে লিখে ওই বক্সে ফেলান আর নিজের বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখুন। আমার এই কাগজ আপনি পড়ছেন, তাহলে মনে করেন আপনার ছেলে মেয়েকে তুলে আনতেও পারব। করুণা করে টাকাটা দিয়েন আমরা ছেলেগুলা অনেক ভালো না। ভালো থাকবেন ৬ তারিখ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তা হাফেজ। তারপর ইংরেজিতে ‘Shadow’ লেখা দেখা যায় পোস্টারে।’
এলাকার লোকজন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির দেয়ালে এমন পোস্টার সংকুলান হওয়া দেখে ভয় তার সাথে আতঙ্কিত হয়েছে পড়েছেন । অনেক মানুষ তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে একা পাঠাচ্ছেন না। আবার অনেক মানুষ ছেলে-মেয়ে নিকট রেখে বাড়িতে বসে রয়েছেন এমনকি বাইরে খেলাধুলা করতেও যেতে দিচ্ছে না। 
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরে সবার চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের পাড়ার সবার বাড়ির দেয়ালে কে বা কারা টাকা চেয়ে পোস্টার লাগিয়ে গেছে। এ নিয়ে আমরা প্রচুর শঙ্কায় আছি। তবে যে কাজটি করেছে সে পরিচিত কেউ হতে পারে। কারণ সবার নিকট একই সংখ্যা টাকা চায়নি। সক্ষমতা বুঝে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। যা সন্দেহজনক। ডরে শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছি না।
এ ব্যপারে মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রায় ৪০০ কক্ষে ১টি চক্র টাকা চেয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে ব্যাপারটা জানিয়েছি।’
এ ব্যপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামের ঘটনা পরিচিত হওয়া মাত্রই পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন