বেশি লাফালাফি করলে ফখরুল-রিজভীর মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবঃ ওবায়দুল কাদের

উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেব। বর্তমান ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলী হতে মিরপুর রোডগামী রাস্তার মাঝখানে মঞ্চ প্রস্তুত করে সমাবেশের ব্যবস্থা করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ইলেকশন হবে, জানুয়ারিতে ইলেকশন হবে। ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল। ইলেকশন হবে, খেলা হবে। খেলা ব্যতীত উপায় নেই বিএনপির সঙ্গে। বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লালকার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।

তিনি বলেন, চলবে আন্দোলন। ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করার জন্য এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করার জন্য এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। ইউরেনিয়ামের দুইটা চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলো পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। দুই চালান আসছে। সেটি আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খানে মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়.. যে লাফাবে মাথায় ইউরিনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবো না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

বিএনপিকে লক্ষ্য করে কাদের বলেন, কবে আসবেন, ডেটটা দেন না। ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত।

মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল  আনিয়েন না, চমৎকার ওষুধ আনেন।  অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমত মশাকে আঘাত করেন।  বড় কষ্টে আছে। খাওয়ার যন্ত্রণা থাকবে না। শেখ হাসিনার রাতের নিদ্রা হারাম মানুষের কথা স্মরণ করে।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের মূল্য বেশি, তা সত্ত্বেও একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না তবু মানুষকে খাওয়াবো। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।


((তথ্য সূত্র-ঢাকা পোস্ট))

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন