মোঃ সুজা উদ্দিনঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউপি-চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান হ*ত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে হ*ত্যা*কারী হারুন আর তার মদদদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হ*ত্যা*র প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার ফ্যামিলি এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা।
মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পায়রাবন্দ বাজার সংলগ্ন ভাংনী মাঠেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু-পাশে উপজেলার নানান প্রান্ত থেকে আসা শতশত লোক দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় হাজির ছিলেন, ৪-নং ভাংনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউপি-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া, ৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাষ্টার, বাজার কমিটির সভাপতি, মিজানুর রহমান, ওলামা মা-শায়েখের পক্ষ থেকে হাফেজ মো. আব্দুস সামাদ এবং চেয়ারম্যানের বড় ছেলে লাবিব হাসান। পায়রাবন্দ বাজার কমিটির সভাপতি, মিজানুর রহমান বলেন, মাহবুবার রহমান একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান ছিলেন। উনি এমন একটা মানুষ ছিলেন, যার জনপ্রিয়তা আর গ্রহনযোগ্যতা ছিলো সমগ্র পেশা শ্রেণীর মানুষের কাছে। বিশেষ একটি গোষ্ঠী তাঁকে হ*ত্যা করে তাঁর নেতৃত্ব শূন্য করে পায়রাবন্দ বাসীকে এতিম করেছেন। হাফেজ আব্দুস ছামাদ বলেন, ঘটনার পরেই হ*ত্যাকা*রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পায়রাবন্দ তথা মিঠাপুকুর উপজেলাবাসী জানতে পারলোনা কারা এর সাথে জড়িত! চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাতক হারুনের ভাই হাকিম পলাতক। আমরা দেখেছি, সাধারণ মানুষকে হ*ত্যা করলে পুলিশ দ্রুতগতিতে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু প্রকাশ্য ভরা বাজারের ভিতর একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে হ*ত্যা করলো পুলিশ তাঁর ইন্ধনদাতাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার আর প্রকৃত অপরাধীকে পুলিশ আড়ালে রেখেছে। আমরা জনপ্রতিনিধীরা এই মুহূর্তে নিরাপত্তাহৃীনতায় ভুগছি। চেয়ারম্যান হ*ত্যা*কান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে তা হবে অন্যায়। নিহত মাহবুবার রহমানের বড় ছেলে লাবিব হাসান বলেন, আমার বাবা ভালো মানুষ ছিলেন। উনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার এই সমস্ত ভালো কার্যে একটি পক্ষ তাঁকে হ*ত্যা*য় মরিয়া ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের নিকটে জোর দাবি রইলো, আমার বাবা হ*ত্যা*য় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সাজা নিশ্চিত করা হউক। উল্লেখ্য যে, গত- ৫ নভেম্বর, রাত্রি আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় পায়রাবন্দ বাজারে তাঁর ঔষধ ফার্মসি বন্ধ করে ফেরার পথে হারুন নামে এক মাদ*কাসক্ত ব্যক্তি মাছ কাটার বটি দিয়ে কুপিয়ে মাহবুবার রহমানকে হ*ত্যা করেন। উত্তেজিত জনতা ঘাতক হারুনকে আটক করে পুলিশে দিলেও কি কারনে তাঁকে হ*ত্যা করা হয়েছে এবং কারা জড়িত সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে ঘাতক হারুনের ভাই হাকিম পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।
(তথ্যসূত্র - আমার সংবাদ)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন