রংপুরে যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি,মোঃ আখলাক মিয়া:


রংপুর সদর থানার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহড়ির হাটে কৃষিখেত নিয়ে বিরোধের জেরে ঘরোয়া বৈঠকে যুবলীগ কর্মী রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা মামলার অতুলনীয় আসামী রাব্বীকে গ্রেফতার করেছে সদর কোতয়ালী থানা পুলিশ। 

হত্যায় অভিযুক্ত আসামী রাব্বী রেজাউলের চাচাতো ভাই। আলোচিত হত্যা মামলায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত আবু বক্কর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স পুলিশের ১টি চৌকষ দল তথ্য যন্ত্রের মাধ্যমে টানা ৩৬ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দিনগত রাতেরবেলা গাজীপুর মেট্রোপলিটন এরিয়া হতে পলাতক আসামি ক্রীতদাস রব্বানী ওরফে রাব্বীকে গ্রেফতার করেন। রাব্বীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের সাহায্যে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।


গ্রেফতারের বিষয়টি শিওর করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সুশান্ত কুমার গভর্নমেন্ট জানান, বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে গত ৮ সেপ্টম্বর বিকালবেলা আলোচনায় বসেন রেজাউল তার চাচাতো ভাইয়া রাব্বী মিয়াসহ ফেমেলির অনেকে। এ সময় রেজাউলের সঙ্গে রাব্বীর বাবার তর্ক-বির্তক হয়। একপর্যায়ে রাব্বী অতি তীব্র রামদা দিয়ে সজোরে রেজাউলের মাথায়  দেয়। ফেমেলির লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেজাউলকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল মহাবিদ্যালয় ডাক্তারখানায় নিয়ে যান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন সিচুয়েশনে রেজাউল মারা যায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে মেহেদী হাসান নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের ছোট ভাইয়া মুন্না বাদী হয়ে থানায়ল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৭ তারিখ ০৯/০৯/২০২৩। এরমধ্যে গ্রেফতার হওয়া রাব্বী ছিল এক নম্বর এজহারভুক্ত আসামী। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এদিকে, যুবলীগ কর্মী রেজাউল করিম হত্যা মামলার শ্রেষ্ঠ আসামী গ্রেফতার হওয়ায় রংপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মামুনুর রশীদ ও কামরুজ্জামান শাহীন  পুলিশ প্রশাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাকী আসামীদের ফাস্ট গ্রেফতার করা হোক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন