উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ
খেজুরে আছে ফাইবার, উপকারি তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে এবং এইরকম নানাবিধ খনিজ উপাদান, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। বিশেষত, দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে এই উপদানগুলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে ছোট-বড় কোনও রোগই যে ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তা তো বলাই বাহুল্য! প্রসঙ্গত, নিয়মিত খেজুর আহার করা আরম্ভ করলে যে কেবল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে, তা নয়, সেই সঙ্গে এইরকম একের অধিক অনুগ্রহ মেলে। তা হলো:
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতোঃ
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, খেজুরে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এইরকম নানাবিধ উপকারি উপকরণ শরীরে প্রবেশ করার পর ব্রেন সেলের ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। এইজন্য তো বলি বন্ধু আশেপাশের মানুষদের হতে যদি একটু বেশিই চালাক হয়ে উঠতে চান, তাহলে প্রতিদিন ২-৩ টে করে খেজুড় খেতে ভুলবেন না যেন!
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়ঃ
খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডি দেহে প্রবেশ করার পর এরূপ খেল দেখায় যে ত্বক টানাটান হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও গুপ্ত হতে শুরু করে। ফলে ত্বক প্রাণবন্ত এবং ঝলমলে হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ, ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ
ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে দেহে 'এল ডি এল' বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে চালু করে। ফলে আচমকা করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা ক্ষতি পায়। সেই সাথে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম এইরকম সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।
নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমেঃ
অনেক হিসাব ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে গুরুতর উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। প্রসঙ্গত, একের অধিক রিসার্চে লক্ষ্য গেছে প্রতিদিন ৩ টে করে খেজুর খেলে শরীরে অন্দরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অপচয় পায়।
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকেঃ
বেশ কিছু স্টাডিতে লক্ষ্য গেছে ডেইলি তিনটে করে খেজুর খেলে দেহে এরূপ কয়েকটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে ক্যান্সার শক্তিস্তরের জন্মে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, বিশেষত কোলোরেক্টাল ক্যান্সার মতো রোগ সরে থাকতে বশীভূত হয়।
এনার্জির ঘাটতি মেটেঃ
এই ফলটির অন্দরে থাকা প্রকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর এরূপ মাত্রায় খেল দেখাতে শুরু করে যে দেহ একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে, সেই সাথে মানসিক কষ্ট মুছে করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এইজন্য থেকে যখনই ক্লান্ত লাগবে এক-দুটো খেজুর খেয়ে নেবেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটেঃ
বেশ কতিপয় স্টাডিতে নোটিশ গেছে খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের অন্দরে এইরকম কয়েকটি উপকরণের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে আরম্ভ করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে চোকে পরার মতো! সেই সঙ্গে নাইট ব্লাইন্ডনেস সহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।
অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে থাকেঃ
শরীরে আয়রনের ঘাটতি লক্ষ্য দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এজন্য তো দেহে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনও সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা অতি প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুনভাবে হেল্প করার জন্য পারে। কীভাবে? এই ছোট্ট ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধি। তাই তো অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
অ্যালার্জির প্রকোপ কমেঃ
২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পল্লবে দাবি করা হয়েছিল খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে সরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একারণে তো যারা সারা বছরই এই রোগে ভুগে থাকেন, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটির অন্তর্ভুক্তি মাস্ট!
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ
একের অধিক গবেষণায় নোটিশ গেছে নিয়মিত খেজুর চালু করলে শরীরের অন্দরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ কন্ট্রোলে চলে আসতে টাইম লাগে না। একারণে তো বলি বন্ধু যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের অতীত বৃত্তান্ত রয়েছে, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটি থাকা মাস্ট!
হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠেঃ
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায় যায়। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত সেলেনিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়ঃ
খেজুরে অনেক মাত্রায় প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একের অধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ অবদান পালন করে থাকে। এখানেই সম্পন্ন নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রযেছে, ফলে রেগুলার খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে অপচয় পায়।
নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়েঃ
খেজুরে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন তার সাথে খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতেও এই ফলটি দারুনভাবে হেল্প করে। এই সময়ে নিশ্চয় বুঝেছেন বাচ্চাদের প্রতিদিন কেন খেজুর খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন