ডেস্ক নিউজঃ
![]() |
সংগ্রহীত ছবি |
রংপুর এলাকায় ৪ শতাধিক লেভেল ক্রসিং অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এতে করে প্রায়ই ঘটমান প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা। এসব লেভেল ক্রসিং এ গেইটম্যান দেয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানে তারা কোন কর্ণপাত করেননি। এতে পথচারীসহ সাধারণ মানুষজন সবসময় আতঙ্কে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট বিভাগের অধীনে আট জেলায় ৪ শতাধিক লেভেল ক্রসিং অনেকেই অরক্ষিত তার সাথে অবৈধ। ওইসব রেল ক্রসিংয়ের কোথাও কোথাও সাবধান সাইবোর্ড লাগিয়ে সচেতনতার প্রস্তুত করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। গেইটম্যান না থাকাসহ অরক্ষিত অবস্থায় থাকার কারণে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে পথচারিসহ মানুষজন আতংকিত রয়েছেন।
এদিকে গত শুক্রবার ও শনিবার রংপুর এবং নীলফামারীতে রেল ক্রসিংয়ে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর ভিতরে একজন অটো চালক ও অন্যজন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাউনিয়া থানার বালাপাড়া ইউনিয়নের তকিপল বাজার এলাকার রেলগেটে বুড়িমারিগামি ট্রেনে খনন করা পড়ে মাহবুর রহমান নামের এক অটোরিকশাচালক মারা গেছেন। তার বাড়ি উপজেলার খোপাতি এলাকায়। উনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। এর আগে রাতেই তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ ডাক্তারখানায় ভর্তি করা হলে ভোররাতে উনি মারা যান।
এর আগে পরে শনিবার সকাল বেলা সাড়ে ৭টায় নীলফামারী সদর থানার দেবীর ডাঙ্গা পথের রেলক্রসিং এরিয়ায় বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে খনন করা পড়ে জেলা সহকারী ইনফরমেশন কর্মকর্তা পাবলিশ চন্দ্রের মরণ হয়েছে। উনি থানার হাড়োয়া এলাকার মোহন বর্মনের ছেলে। অরক্ষিত রেলগেটে এ দুইটি দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীর পাটবাড়ি, বালাটারি, পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী উপাশু, কাউনিয়া থানার থানা লেভেল ক্রসিং, তকিপল হাট রেলগেট, খোর্দ্দ বালাপাড়া লেভেল ক্রসিং, খোপাতী ও তপসীডাঙ্গা লেভেল ক্রসিং, পাঞ্জরভাঙ্গা লেভেল ক্রসিং, শহীদবাগ লেভেল ক্রসিং, বুদ্ধির বাজার বাঁধের রাস্তা লেভেল ক্রসিং, মহেশা রেল গুমটি, মৌল লেভেল ক্রসিং, বল্লভবিষু লেভেল ক্রসিং সহ রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন স্থানে কতিপয় লেবেল ক্রসিং অরক্ষিত রয়েছে। এসব লেভেল ক্রসিংগুলোর পথ দিয়ে দিন-রাত নানারকম যানবাহন, লোক ও গবাদিপশু চলাচল করলেও নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো দারোয়ান বা গেটম্যান। একারণে হরহামেশাই ঘটমান দুর্ঘটনা আর প্রাণহানি। এতে অরক্ষিত এসব লেভেল ক্রসিং সম্প্রতি মৃত্যু খপ্পরে পরিণত হয়েছে। তবুও এ বিষয়ে কর্মাধিকারিগণ সম্পূর্ণ নীরব। কিন্তু হুইসেল বাজিয়ে ঘটছে ট্রেন। এর কারণে পথচারীরা অলওয়েজ আতঙ্কে থাকেন।
এবিষয়ে জানতে কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান, তকিপল বাজার রেলগেটে একজন গেটম্যান রয়েছেন। ওই গেটম্যান সকাল-সন্ধ্যা ১২ ঘণ্টা ডিউটি করেন। সন্ধ্যা ৬টা হতে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত তকিপল বাজার রেলগেটটি অরক্ষিত থাকে।
তিনি এইরকম জানান, রাষ্ট্রের প্রতিটি রেলগেইট নিয়ন্ত্রণ করে রেলের দু’টি শাথা, একটি হলো ট্রাফিক শাখা অন্যটি হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা। গেইটম্যান দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হয়েছে, কোন কাজ হয়নি। তার পরেও চেষ্টা চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন