উত্তর বাংলা ২৪বিডি ডেস্কঃ
কৃষি দেশের সার্বিক উন্নয়নে ও চাষীর সমৃদ্ধ জীবনমানের হাতিয়ারে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, কৃষিকাজ করে চাষি শুধু খেয়ে পড়ে আর গামছা-লুঙ্গি পড়ে কোন রকমে বেঁচে থাকবে সেটি আর থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক রাষ্ট্রশাসক বংশ কৃষিকে স্মার্ট ও লাভজনক করার জন্য পরিশ্রমী কাজ করছে। যাতে করে কৃষি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতি ও কৃষকের পুষ্ট জীবনের হেতু হাতিয়ারে রুপান্তর থেকে পারে। সে লক্ষ্যেই আধুনিক রাষ্ট্রশাসক সেক্টর কৃষিতে মেক্সিমাম প্রদান করছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের নশিপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তরে ঘাতসহনশীল তত্ত্বানুসন্ধান কমপ্লেক্স উদ্বোধন, গ্রিন হাউসে নানারকম তত্ত্বানুসন্ধান কার্যক্রম ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন তার সাথে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের হেতু অন্ন চালের পাশাপাশি গম ও ভুট্টার চাহিদাও বাড়ছে। ভুট্টা উৎপাদনে আমরা খুবই সাকসেস হয়েছি। ২০০৮-০৯ সালে ভুট্টার উৎপাদন যেখানে মাত্র ৬ লাখ টন ছিল, তা বেড়ে ৬৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। বিচিত্র সমস্যা থাকায় গমের উদ্ভাবন তেমন বৃদ্ধি পায় নি, সালের প্রায় ৬০ লাখ টন গম আমদানি করার জন্য হয়। অথচ দেশের বিজ্ঞানীরা আধুনিক কালে গমের পুষ্ট সম্ভাবনাময় জাত উদ্ভাবন করেছে। প্রার্থনা করছি, এগুলো চাষের মাধ্যমে আমরা গমের আমদানি অনেকটা কমিয়ে আনতে পারব।
পেঁয়াজ-আলু- ডিমের ভ্যালু বেশির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব পণ্যের দর বৃদ্ধি সাময়িক ব্যাপার, শীঘ্রই দাম ক্ষয় পায় আসবে। আর ডিম আমদানির ফলে দেশের খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও চিন্তা রাখা হচ্ছে। বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ১৫ সালের আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে সাকসেস হয় নি, ১৫ দিনের চূড়ান্ত আন্দোলনেও সফল হবে না। বিএনপি আবারও ব্যর্থ হবে, আর অসমর্থ হয়ে তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় নিমজ্জিত হবে। এই ব্যর্থতার গ্লানি ও হতাশা নিয়ে লজ্জায় বিএনপির ব্যাপক সংখ্যা নেতাকর্মী আর কখনও ঘর হতে বের হবে না, রাজনীতি হতে সরে যাবে, বিপথে চালিত হবে। তার সঙ্গে বিএনপির একেবারে বিলীন হয়ে যাবে।
বিএনপিকে নির্বাচনে তীব্র অভ্যর্থনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে একটি বেশি উপযুক্ত বিরোধী দল থাকুক। এটি যে কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রের জবাবদিহিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই, আপনারা নির্বাচনে আসুন। নির্বাচন ব্যতীত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর মতো শক্তি আপনাদের নেই।
এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য তোষামোদ শীল গোপাল, গম ও ভুট্টা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ধান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রংপুর ও দিনাজপুর এলাকায় তেল ফসল ও ধানের বাড়তে কর্তব্য ব্যপারে মতবিনিময় সভায় সেরা মেহমান সংখ্যায় যোগ দেন।
(তথ্য সূত্র সংগ্রহীত)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন