আসতে আর অবশিষ্ট নেই। শীতের আগাম মেসেজের জানান দিচ্ছে আবহাওয়া । এরই মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেছেন চাষিরা।
এ উপজেলায় প্রতি বছর আগাম উৎপাদিত সবজি মার্কেটপ্লেসে তুলে বিক্রয়ে অনেক ভালো মূল্য পেয়ে থাকেন চাষিরা। একারণে আগাম সবজি আবাদে আগ্রহী হন তারা। এর ফলে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন এর কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে থানার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর পোরার হাট, উত্তর সোনাখুলি, কামারপুকুর ও বাংগালীপুর সহ নানারকম গ্রামের চাষিরা ব্যস্ত শীতকালীন সবজি চাষে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শীতকালীন সবজি চাষ লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা এদিকেই ঝুঁকে পড়েছেন বলে জানান এলাকার চাষিরা।
শীতের শুরুতেই মার্কেটে বিক্রি করে অধিক টাকা আয়ের আশায় চাষিরা ইদানিং জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চারা বপন ও পরিচর্যার কাজ করছেন। এ সমস্ত অঞ্চলে চাষ হচ্ছে, আলু, মূলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ঢেঁড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, লাউ অন্যতম। তবে বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে এ বছর ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ পর্যাপ্ত অধিক চাষাবাদ হয়ে গিয়েছে । সবজির মান অনেক ভালো হওয়ায় পইকারীর একসাথে খুচরা বাজারেও নতুন সবজির চাহিদা বেশ অনেক ভালো থাকে, দামও বেশি পাওয়া যায় বলে আগাম সব্জি চাষে আগ্রহ কৃষকদের ।
উপজেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায় চলমান রবি মৌসুমে এ থানায় শীতকালীন লাল শাকের আবাদ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে, পালংশাক ১২০ হেক্টর জমিতে, শিম প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে, মুলা ১০৫ হেক্টর জমিতে, টমেটো ৯০ হেক্টর জমিতে, বাঁধাকপি ১০০ হেক্টর জমিতে, ফুলকপি ৮৫ হেক্টর জমিতে, বেগুন ১০০ হেক্টর জমিতে, গাজর ২০ হেক্টর জমিতে, শসা ৩০ হেক্টর জমিতে, মিষ্টি কুমড়া ১২ হেক্টর জমিতে, বরবটি ১৫ হেক্টর জমিতে, পেঁপে ১৪ হেক্টর জমিতে, ডাটাশাক আলু প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে, সরিষা ৬০ হেক্টর জমিতে ও মরিচ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার খোদ্দ বোতলাগাড়ির কৃষিজীবী মোন্নাফ জানান, আগাম সবজি চাষ করে বেশি লাভবান করে থাকি।নীলফামারী জেলার বিভিন্ন ঠাঁই হতে পাইকার এসে উৎপাদিত এসব সবজি মাঠ থেকেই ক্রয় করে নিয়ে তারা রাষ্ট্রের নানারকম প্রান্তে নিয়ে গিয়ে থাকেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাহিনা জানান, অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সৈয়দপুর উপজেলায় ব্যাপক সবজির আবাদ হয়। এখানকার চাষি সহ জনসাধারণের ডিমান্ড মিটিয়ে বাইরে বিক্রি করা হয়।
(তথ্য ও পিকচার সংগ্রহীত)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন